তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার তালতলীতে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জামায়েত নেতা দুই সাংবাদিক কে মারধর করে আহত করে। এরপর তারা উল্টো মিথ্যা কল্পানিক মারধর দেখিয়ে একটি মিথ্যা মামলা করেন।

তবে ঘটনাস্থলে না থেকেও তালতলী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম আকাশকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার( ২৭ এপ্রিল) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪ শে এপ্রিল দুপুরে ইউসুফ মাওলানা ও শাহাদত তিনটি গাব গাছের লাঠি নিয়ে উপজেলা সড়কের তিন রাস্তায় অবস্থান করে। এ সময় উপজেলা পরিষদের সংবাদ সংগ্রহ শেষে আসার পথে সাংবাদিক মাওলানা জুবায়ের ও সাংবাদিক নাদিমের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এতে তারা মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয়রা দৌড়ে গেলে ইউসুফ আলী ও শাহাদাত দ্রুত ঘটনা স্থান ত্যাগ করে। এরপর ঘটনা স্থানে পুলিশ আসার কিছুক্ষন পরে তালতলীর কর্মরত সকল সাংবাদিকরাও আসেন। এ এস আই হাসনাইন সম্প্রতি ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর সহ একাধিক ও স্থানীয় দোকানদারদের সাক্ষাৎ কার নেয়।

পরে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসা করে থানায় আসতে বলে। এই ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাওলানা জুবায়ের বাদী হয়ে ইউসুফ মাওলানা ও শাহাদতকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দেয়। এর পরে ইউসুফ মাওলানা ও শাহাদত ব্লেড দিয়ে মাথা কেটে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি হয় পরে পটুয়াখালী ভর্তি হয়। এ ঘটনায় তারা উল্টো মিথ্যা মামলা করেন।

যেখানে ঘটনাস্থলে না থেকেও তালতলী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম আকাশকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকে আসামী করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অনেকে।

এবিষয়ে তালতলী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম আকাশ বলেন,বাদীরা কি কারণে আমাকে আসামী করেছে আমার জানা নেই। আমি এই ঘটনার সময় তালতলী থানায় ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলাম। যার প্রমাণ সিসিটিভি’র ফুটেজে রয়েছে।

তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এক সাথেই থানায় ছিলাম। মারধরের সময় ঘটনা স্থলে না থেকেও মামলার প্রধান আসামী করা হয়েছে এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানাই।

তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, মামলায় যে সময় দেখানো হয়েছে তখন সম্পাদক খাইরুল ইসলাম ঐ স্থনে ছিলো না। তাছাড়া ইউসুফ মাওলানা ও শাহাদত দুই সাংবাদিককে মারধরের পরে আহত অবস্থায় আমাদের কাছে এসেছে। আমি এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।